সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত। অভাব দূর করার আমল।

সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত। অভাব দূর করার আমল।

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোন আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি, সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত। অভাব দূর করার আমল। কথায় আছে দারিদ্রতা মানুষকে কুফুর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি সুরা ইয়াসিন এর আমল করে দুনিয়ার অভাব অনটন থেকে বেঁচে থাকবেন।

সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত। অভাব দূর করার আমল।

অসংখ্য হাদিসের বর্ণিত হয়েছে সুরা ইয়াসিন কোরআনের শ্রেষ্ঠ সূরার অন্যতম একটি সূরা।

এ সূরাটি পাঠকের জন্য কেয়ামতের ময়দানে যেমন নাজাতের হাতিয়ার হতে পারে ঠিক তেমনি ভাবে দুনিয়ায় মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র টাকা পয়সার সমাধানও করে দিতে পারে।

দুনিয়ার জীবনে মানুষের বহুমুখী অভাব-অনটন থাকে, শুধুমাত্র দৈহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে সেই অভাব অনটন দূর করা সম্ভব হয় না।

প্রয়োজন হয় আল্লাহর সাহায্য এবং অনুগ্রহের আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহ ছাড়া কোন মানুষ দুনিয়া ও আখেরাতের কোন স্থানে প্রকৃত সফলতা পেতে পারে না।

সুরা ইয়াসিন এর আমল


জানা থাকা জরুরী যে সুরা ইয়াসিন এর আমল দুনিয়ার রিজিকের অভাবে ব্যক্তির জন্য আল্লাহর মহা অনুগ্রহ।

নিয়ম মেনে সুরা ইয়াসিন এর আমল করলে দুনিয়ার অভাব-অনটন দূর হয়ে যায়।

এবং দুনিয়ার যাবতীয় প্রয়োজন পূর্ণ হয়, হাদিস শরীফে এসেছে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আজমাঈন বলেন, যদি কোন ব্যক্তি দুনিয়াবী অভাব অনটনের সময় সুরা ইয়াসিন পাঠ করেন।

তাহলে সুরা ইয়াসিন পাটকারী ব্যক্তির অভাব অনটন দূর হয় সংসারের শান্তি আসে পরিবারের সমস্ত লোকজন বাধ্যগত হয় বিশেষ করে স্ত্রী, এবং পরিপূর্ণ রিজিকের বরকত লাভ করা যায়।(মাযহারী)

হযরত আতা বিন আমি রাবা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন আমি শুনেছি, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার দুনিয়াবী যাবতীয় হাজত পূর্ণ করা হবে সমস্ত প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। ( দারেমী) 

হযরত ইয়াহিয়া ইবনে কাসির রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বেলা সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, সে ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে শান্তিতে স্বস্তিতে থাকবে। এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে স্বস্তিতে এবং নিরাপত্তায় থাকবে। ( মাযহারি)

প্রিয় বন্ধুগণ সুরা ইয়াসিন পাঠের অসংখ্য ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আপনারা যারা অভাব অনটন অশান্তির ভিতরে আছেন তারা আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে পরিপূর্ণ মহব্বত ভালোবাসা নিয়ে ফজরের নামাজের পরে সুরা ইয়াসিন নিয়মিত পাঠ করুন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এমন রিজিকদাতা যার ভান্ডারে কোন কমতি নেই আপনার যত রিযিক দরকার তার থেকেও বেশি দিলে ও তার কোন কমতি হবে না এ কারণেই স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা বেশি বেশি রিজিক প্রার্থনা করি।

প্রিয় বন্ধুগণ সুরা ইয়াসিন এর আমল এই পোষ্টে আপনাদের ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন।



Previous Post Next Post